হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তিরএই বিশ্বয়ানের যুগে একটি চ্যালেঞ্জিং ও যুগোপযোগী পেশা হচ্ছে হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক_ইঞ্জিনিয়ারিং। এ পেশায় যেমন রয়েছে উচ্চ মর্যাদা,আকর্ষণীয় বেতন ঠিক তেমনি রয়েছে ক্যারিয়ারের শীর্ষে উঠার সুযোগ। আর সবচাইতে মজার কথা হল, আধুনিক বর্তমান বিশ্বে যে সকল চাকরির চাহিদা সবচেয়ে বেশি বা ভবিষ্যতেও সবচেয়ে বেশি থাকবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং।
নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং
একজন নেটওয়ার্ক এডমিন শুধুমাত্র এইটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কই দেখভালের কাজটিই করে থাকেন না, বরঞ্চ নেটওয়ার্কের রক্ষণাবেক্ষণর কাজটি অর্থাৎ তার প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারি, নেটওয়ার্কে কোনো দুর্বলতা রয়েছে কিনা, নিয়মিত সেটি পরীক্ষা করে দেখা এবং নিরাপত্তা দুর্বলতা পাওয়া গেলে তার সমাধান করে থাকেন।
বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, কর্পোরেট অফিস, ব্যাংক-বীমা, টেলিকম কোম্পানী সহ চোট-বড় যে কোন প্রতিষ্ঠানই যেখানে অন্তত ১০ টি বা তার অধিক কম্পিউটার রয়েছে সেখানেই রয়েছে হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক টেকনোলজিতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। অনেক প্রতিষ্ঠানে আবার নেটওয়ার্কিংয়ের জন্যই রয়েছে আলাদা বিভাগ।
#নেটওয়ার্ক_ইঞ্জিনিয়ার_হতে_চাইলে:
নেটওয়ার্কিংযে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভালো কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। এর পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং খাতে নতুন নতুন আপডেট, পণ্য, সফটওয়্যার সম্পর্কেও থাকতে হবে ওয়াকিবহাল।
আর আমরা জানি যে কোন ক্যারিয়ার শিক্ষা তার প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত একটা বিষয়। যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ নেই, ক্যারিয়ার সেখানে অনুপস্থিত। আর ঠিক তেমনি নেটওয়ার্কিংয়ের উপর দক্ষতা অর্জনের জন্যও আমাদের দেশে বেশ কিছু কোর্স প্রচলিত রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
#সিসিএনএ ((সিসকো সার্টিফায়েড নেটওয়ার্ক অ্যাসোসিয়েট)
#এমটিসিএনএ (মাইক্রোটিক সার্টিফায়েড নেটওয়ার্ক অ্যাসোসিয়েটস)
#জেএনসিএ_জুনিয়স (জুনিপার নেটওয়ার্কস সার্টিফাইড অ্যাসোসিয়েট –জুনিয়স)
পাশা-পাশি আপনাকে অবশ্যই মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ সার্ভার ও রেড হ্যাড লিনাক্স সার্ভারেও দক্ষ হতে হবে। আর এর জন্য আপনি নিচের কোর্স দুটি করে নিতে পারেন।
#এমসিএসএ (মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড সলিউশন অ্যাসোসিয়েটস)
#আরএইচসিই (রেড হ্যাড সার্টিফায়েড ইঞ্জিনিয়ার) ।
#নেটওয়ার্ক_ইঞ্জিনিয়ারদের_বেতন_কাঠামোঃ
হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স (নতুন এবং পুরাতন কম্পিউটার সেটিং করার কৌশল): কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে এই কোর্সের তুলনা নাই । কম্পিউটার এর যাবতীয় কাজ শেখার পাশাপাশি যদি হার্ডওয়্যার কোর্সটি শিখে রাখা যায়,তবে কম্পিউটারে কাজ করতে আরও সহজ হবে । হার্ডওয়্যার শেখা থাকলে COMPUTER ASSEMBLING থেকে শুরু করে কম্পিউটার এর যে কোন ত্রুটি থাকলে সহজেই সমাধান করা সম্ভব ।
আমাদের এই প্রোগ্রামের আওতায় যেসব
বিষয়াবলী শেখানো হবে-
(১) All Computer Components (কম্পিউটারের
সব পার্টস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে
ধরা)
(২) PC Assembling (কেসিং-এর মধ্যে
কম্পিউটারের সব পার্টসগুলো প্র্যাকটিক্যালের
মাধ্যমে সেটিং করার কৌশল শেখানো হয়)।
(৩) All Computer Parts Connecting (পাওয়ার
সাপ্লাই এবং মাদার বোর্ড থেকে সব
পার্টসগুলোতে প্র্যাকটিক্যালের মাধ্যমে
কানেকশন দেওয়ার কৌশল শেখানো হয়) ।
(৪) Bios Setup (কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিস্ক এবং
প্রোগ্রামগুলো কিভাবে কাজ করবে তা জনার
কৌশল শেখানো হয়)।
(৫) Operating System (Windows 2000,
Windows NT, Windows XP, Windows 7)
Installation (নতুন কম্পিউটারটি কিভাবে চলবে তার
জন্য Operating System লোড করার কৌশল
শেখানো হয়)।
(৬) Hard Disk Partition (হার্ড ডিস্ককে
কয়েকটি ভাগে ভাগ করে কাজের উপযোগী
করে তোলার System শেখানো হয়)।
(৭) All Computer Hard Disk Partition
Formatting (পার্টিশন করা ড্রাইভগুলো ব্যবহারের
উপযোগী করার জন্য প্র্যাকটিক্যালের
মাধ্যমে ফরমেট করার কৌশল শেখানো হয়)।
(৮) All Computer Hard Disk Scan(পার্টিশন করা
ড্রাইভগুলো স্ক্যান করে ব্যবহারের উপযোগী
করার কৌশল শেখানো হয়)।
(৯) Computer Software Installation (সব
ধরনের সফ্টওয়্যার লোড করার কৌশল শেখানো
হয়
বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় সিসিএনএ, এমটিসিএনএ, এমাসিএসএ সম্পন্ন করেছেন, এমন ব্যক্তিদের। তারা সাধারণত শুরুর দিকে ১৫-২০ হাজার টাকা বেতন পেলেও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বেতন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যেখানে পড়বেন:
এ বিষয়ে সবথেকে প্রাকটিক্যাল কাজ ভালোভাবে শিখতে হলে কোন সফটওয়্যার বা আইটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন। কেননা ট্রেনিং সেন্টারগুলো প্রাকটিক্যাল এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থীকে দক্ষ করে তোলে।এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো দেশের শীর্ষ আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি)।
যোগাযোগে:
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি),
ড্যাফোডিল প্লাজা, ৪/২ সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭।
ফোনঃ ০১৭১৩৪৯৩১৮৭ এবং০১৭১৩৪৯৩২৩৩
Web: http://www.dipti.com.bd