আর্কিটেকচারে ক্যারিয়ার সম্ভাবনা
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পেশার ভিড়ে যখন অনেকেই তাদের ক্যারিয়ার বাছাইয়ের পথ হারিয়ে ফেলে, তখনই অনেক শিক্ষার্থী ভেবে দেখেন আর্কিটেকচারে পড়াশোনা করার বিষয়টি। উচ্চ বেতনের আশায়ও অনেক ক্রিয়েটিভ মানুষ সফলতার উদ্দেশ্য এই পেশায় আগ্রহী হয়ে থাকেন। আকর্ষণীয় বাড়ির ডিজাইনের পাশাপাশি ইন্টোরিয়র ডিজাইনের জন্য ক্রিয়েটিভটির প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, সে ধারণা আমাদের সকলের কমবেশি রয়েছে। বর্তমানে আর্কিটেকচার পেশাতে কর্মীদের উচ্চ চাহিদার পাশাপাশি রয়েছে আকর্ষণীয় স্যালারি।
নিজের কর্মস্থানের সাথে প্যাশনের সম্পর্ক থাকলেই সেই কর্মক্ষেত্রে সফলতা সহজেই অর্জন করা সম্ভব হয়। আরও সহজ ভাবে বললে, আপনি কি বিভিন্ন ক্রাফটিং করতে পছন্দ করেন? অথবা লোগোর মতো খেলনা দিয়ে কিংবা কাগজ ও আঠা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানাতে পছন্দ করেন? এই ধরনের কাজগুলো আপনার আর্কিটেকচারের প্রতি প্যাশন প্রকাশিত করে থাকে।
বর্তমানে আর্কিটেকচার পেশার শতকরা ৬০ ভাগ মানুষই ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। এছাড়া প্রফেশনাল লাইসেন্স অর্জনের পরে বিভিন্ন শহুরে বাড়িঘরের প্লানিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনকর্ডের মতো রিয়েল এস্টেটের কন্সট্রাকশন ডিজাইনও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার আর্কিটেকচাররা করে থাকেন।
বিভিন্ন ধরনের আর্কিটেকচার প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর অসংখ্য আর্কিটেকচার লাইসেন্স প্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
মডার্ন আর্কিটেকচার ডিজাইনিংয়ের কাজগুলো সাধারণত কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এবং মডেলিংয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। তাই শুরুতে অবশ্যই কম্পিউটারের অপারেটিংয়ে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। এছাড়া পড়াশোনার শুরুর দিকে ট্রিমবেল, স্কেচআপের উপরও ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
বর্তমান সময়ের কাজগুলো কখনোই নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপস এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাই সময়ের সাথে কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রাফিক্সের কাজের দক্ষতা ঝালাই করে নিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন থ্রিডি প্রিন্টিংয়ে কাজে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। অটোক্যাড, মায়া, থ্রিডি ম্যাক্স, সলিড ওয়ার্কের মতো সফটওয়্যার কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ না করলেই নয়। সাথে সাথে চলতি সময়ের বিভিন্ন আর্কিটেকচার পণ্য, ম্যাগাজিনের বিষয়ে জ্ঞান থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
আর্কিটেকচার ক্যারিয়ার পুরোপুরি তাদের জন্য, যারা এ ধরনের কাজের বিষয়ে অত্যন্ত প্যাশনেট। আর্কিটেকচারে নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে অসাধারণ আঁকাআকির ক্ষমতা আর কম্পিউটারের জাদুকর হওয়ার দরকার হয়না। শুধু দরকার সদিচ্ছা এবং কয়েক বছরের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা।
আর্কিটেকচার বিষয়ে সবথেকে প্রাকটিক্যাল কাজ ভালোভাবে শিখতে হলে কোন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন। কেননা ট্রেনিং সেন্টারগুলো প্রাকটিক্যাল এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থীকে দক্ষ করে তোলে।এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো দেশের শীর্ষ আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি)।
যোগাযোগে:
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি),
৬৪/৬, লেকসার্কাস, পান্থপথ (রাসেল স্কয়ার), কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫।
ফোনঃ ০১৭১৩৪৯৩১৮৭ এবং০১৭১৩৪৯৩২৩৩
Web: http://www.dipti.com.bd ;